ব‍্যারেজ থেকে ছাড়া হল জল , একাধিক এলাকায় বন‍্যার আশঙ্কা

31st July 2021 11:55 am বাঁকুড়া
ব‍্যারেজ থেকে ছাড়া হল জল , একাধিক এলাকায় বন‍্যার আশঙ্কা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : গত ৩ দিন ধরে বাঁকুড়া, বীরভূম ও দুই বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের টানা বৃষ্টিপাতের জেরে জলস্তর বেড়েছে দামোদর নদীর । আর এর  ফলে চাপ বেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজেও । তাই আজ সকাল ১০ টা অব্দি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । আর এই বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার জেরে রীতিমতো বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া জেলার দামোদর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে । একদিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে গত তিন দিন বৃষ্টির জলে জলমগ্ন চাষের জমি তার ওপর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী, পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ব্লকের নিত্যানন্দপুর, সমিতিমানা, ঘোড়াডাঙ্গা, টাসুলি, চরগোবিন্দপুর, পাঁচপাড়া, ভগবতীপুর এই সমস্ত নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসীরা ।

আর বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী বিধানসভার নিত্যানন্দপুরের সুমতিমানা ও পাণ্ডেপাড়ায় দামোদর নদির বাঁধ ভেঙ্গে ইতিমধ্যে ঢুকতে শুরু করেছে দামোদরের জল । আর এই খবর পেয়েই এইসব গ্রামীন এলাকাগুলি পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়লেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি । এদিন তিনি গ্রামগুলিতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন এবং গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।